সকল কবি এবং পাঠকদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা।
Welcome to
our all poets and readers.
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
Editor. Nihar Ranjan Das
Siliguri , Darjeeling,
West Bengal , India.
Editorial and coordinator team
Madhu Gangopadhyay,
Bangalore , India .
Mala Chakraborty ,
Kalyani . West Bengal,India .
Smita Gupta Biswas ,
Kolkata, West Bengal , India .
Sujata Ghosh Roy .
Kolkata .West Bengal, India .
Subrata Roychoudhury
Siliguri,West Bengal , India .
Monju Ghosh Choudhury,
Siliguri , west Bengal India .
Sujit Baksi , Siliguri , west Bengal , India .
Sanjita Das laskar, Silchar, Assam , India.
Bilash Ghosh , Hoogli ,west Bengal , India ,
Kakoli Ghosh( moon) , Baharampur , west Bengal , India .
Daniela Marian , Romania.
Gerlinde Staffler, Italy.
Marlene pasini , Maxico .
✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️
Editorial ....
Only poem, song, and drama can break the chain and bring a free yard. Today the whole world is before us in an authoritarian form. We will break this chain, to walk our path with this vow.
শৃঙ্খল ভেঙে এক মুক্ত উঠোন আনতে পারে কেবল কবিতা , গান , নাটক । আজ সমস্ত পৃথিবী এক স্বৈরাচারী রূপ নিয়ে আমাদের সামনে । এই শৃঙ্খল আমরা ভাঙবো এই ব্রত নিয়ে আমাদের পথ চলা ।
🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹
✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️
সুস্মিতা কৌশিকী
( ভারত)
বই পড়া :
কে না জানে বই-ই মানুষের সবচেয়ে নীরব ও অবিচল বন্ধু । বইকেই সবচেয়ে সুলভ ও প্রাজ্ঞ পরামর্শ দাতা এবং ধৈর্য্যশীল শিক্ষকও বলতে হয় । বই নিয়ে জ্ঞানীগুণিদের কিছু মূল্যবান 'কোটেশন ' দেখতে চেয়েছিলাম , কিন্তু গুগুল জ্যাঠামশাই এত্তো এত্তো কোট এ দর্শন করালেন যে কাকে নিয়ে কাকে রাখি অবস্থা । শেষমেষ গলদঘর্ম হয়ে ক্ষান্ত দিলাম ।
আসলে আলোচনাটা বই নিয়ে নয় , বইপড়া নিয়ে করতে চাইছি । আর তখনই পুরনো প্রেমের মতো মনের শাখা ধরে উঁকি দিয়ে গেলেন বেকন সাহেব । রীতিমতো সাহেবী কায়দায় । বললেন , ব্যক্তির স্বাভাবিক গুণাবলী প্রকৃতিতে স্বেচ্ছায় বেড়ে ওঠা গাছের মতো , তাদের কেঁটেছেঁটে সাফসুতরো করা দরকার । আর এই সাফসুতরো করার কাজটি করবে ' বইপড়া '।
বইপড়া আর পড়াশোনা করা কিন্তু সমার্থক নয়। বইপড়া শব্দের মধ্যে রয়েছে বিস্তার আর পড়াশোনার মধ্যে গভীরতা । বই পড়া শখের হতে পারে , পেশাগত হতে পারে আবার জ্ঞানার্জনেরও হতে পারে । তবে সবক্ষেত্রেই যে দুটি জিনিস কমন তা হলো আনন্দ আর নির্যাস। শখ পূরণে আনন্দ যে আছে তা বলাই বাহুল্য। পেশাগত কারণে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুললে পেশাগত উৎকর্ষতা বৃদ্ধি পাবে। আর নিজের ভেতরে জ্ঞানের ভান্ডার গড়ে তুলতে গেলে বই হলো প্রাথমিক ধাপ। ফ্রান্সিস বেকন তাঁর of studies -এ একেই বলেছেন delight , ability এবং ornament ।
ভালো বই মন্দ বইয়ের কথায় না গিয়ে বরং বলি ,যে যেমন বই পড়বে ,সে তেমন নির্যাস লাভ করবে । কারণ 'ভালো বই ' বিষয়টি নিয়ে গোলযোগ আছে। কোন বইকে ভালো আর কোন বইকে মন্দ বলতে পারি ? ভালো মন্দ বিচারের মাপকাঠিই বা কী ? আপনার ভালো বই আর আমার ভালো বই এক হবে এমন গ্যারান্টি নেই । বরং বলা চলে প্রত্যেক বইয়েরই নির্দিষ্ট গন্তব্য আছে , যার যেখানে পৌঁছনোর সেখানে ঠিকই পৌঁছে যায়।
তবে জ্ঞানপ্রজ্ঞা বিষয়ক কিছু বই অবশ্যই আছে যেগুলি যুগ যুগ ধরে বেঁচে আছে , থাকবেও । পৃথিবীতে এখনও পর্যন্ত যত বই লেখা হয়েছে , প্রতিদিন একটি করে শেষ করলেও একজন মানুষ তার জীবৎ কালে মোট বইয়ের সামান্যই পড়ে শেষ করতে পারবে । তাহলে উপায় ? ঐ যে , বেকন সাহেবের ভুত , তিনিই ( ভুত হলেও মান্যি করতে হয় ) তো বলে দিয়ে গেলেন " some books are to be tasted , others to be swallowed and some few to be chewed and digested " কিছু বই ছুকছাক জিভে ছোঁয়ালেই চলবে , কিছু গিলে নিলেই হলো , আর বাদ বাকি অল্পকিছু আচ্ছা করে চিবিয়ে হজমও করতে হবে বাপু ।
আমাদের বাল্যে আমরা অনেকেই বাড়ির গৃহিণীদের বইপড়ার অভ্যাসের সাথে পরিচিত । যাঁরা ঘর- গৃহস্থালির কাজ সামলে বা চাকরিবাকরি , ছানাপোনা সামলে ছুটির দিনে / দুপুরের অবসরে শীতলপাটির ( গ্রীষ্মকালীন ) উপর শুয়ে চুল মেলে দিয়ে বই পড়তেন । তাঁদের হাতের বইগুলি হতো সাধারণতঃ গল্প , উপন্যাস , নীতিকথা , স্মৃতি মূলক বা ভক্তিমূলক মহাকাব্যাদির অনুবাদ ।
যারা বইপড়াকে পড়াশোনার পর্যায়ে নিয়ে যান তাদের বই কিন্তু নি:সন্দেহে আলাদা । ইতিহাস , দর্শন , রাজনীতি , ধর্ম , বিজ্ঞান , বিবিধ বইতে তাদের স্বাভাবিক আগ্রহ।
রয়েছে পেশাগত বইয়ের দুনিয়া।যত মত তত পথের মতো যত পেশা তার অধিক বই । হস্তরেখা বিচার থেকে হোমিওপ্যাথি , আয়ুর্বেদ থেকে আমের আচার তৈরি সবেরই ' র স প ' সব নিয়ে ই বই আছে । কেবল পছন্দ ও প্রয়োজন মতো বেছে নেবার অপেক্ষায়।
মানুষের বইপড়ার অভ্যেসটিও বৈচিত্র্যে ভরপুর। আমাদের এক শিক্ষক ছিলেন তিনি নাকি প্রতিরাতে একটা করে বই পড়ে শেষ করতেন । মিথ না মিথ্যে যাচাই করতে যাইনি। তবে অনেকেই আছেন যারা যত না পড়েন তার চেয়ে অনেক বেশি বই সংগ্রহ করেন । সংগ্রহ ও সংরক্ষণ নি:সন্দেহে মহৎ এবং প্রয়োজনীয় কাজ ।
বাংলাদেশের বিশিষ্ট অধ্যাপক , শিক্ষাবিদ ও 'বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র 'নামক প্রতিষ্ঠানের প্রাণপুরুষ আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ মহাশয়ের ভাষণে একটা কথা খুব মনে ধরেছিল । তিনি বলেছিলেন যদি বই পড়ার অভ্যাস নাও থাকে , তাহলেও বইয়ের কাছাকাছি থাকুন । মন নির্মল থাকবে ।
এই কথা যেই লিখেছি বেকন সাহেবের বিদেহী আত্মা আরো একবার গলা বাড়িয়ে বলে দিয়ে গেলেন " Crafty men condemn studies , simple men admire and wise men use them " .
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মালা চক্রবর্তী (ভারত)
প্রেম
প্রেম মানে বুঝি অনন্ত হাতছানি
কার আহ্বানে জেগে ওঠে কোনো দ্বীপ
উত্তাল সমুদ্র ভাঙে প্রবাল প্রাচীর
কারো বুকে ভাসে গোপন অন্তরীপ।
আগুন জ্বালায় চকমকি ঠুকে কেউ
চির কাঙ্খিত একান্ত অভিসার
কুঁদে কুঁদে আঁকে দুটি হৃদয়ের ফুল
ছেনি-হাতুড়িতে অজন্তা ইলোরার।
ঘাতক জীবন পরাগ মিলন শেষে
সেই মরণকে বার বার ছুঁতে চায়।
চির পিপাসিত মরিচিকা দেখে ছোটে
সত্যি কী কেউ প্রেম বলে কিছু পায়?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
সঞ্জিতা দাস লস্করকাপালিক
কখনও তোমাকে মনে হয় নিষ্ঠুর কাপালিক
ছড়িয়ে থাকা নরমুণ্ড নিয়ে খেলছো অযুত বছর ।
আমিতো বশীভূত এক জন্মান্ধ হরিণী ।
ঘাসের উপর মুমূর্ষু শায়িত ছিলাম,
শাপগ্রস্ত মাতৃগর্ভ থেকে,
বাঁচিয়ে রেখেছো স্বউদ্যমে ..
এখন আমার ভিতরেও বাড়ছে ক্রমশ
দীর্ঘতম শিশুভ্রূণ
বেশ বুঝতে পারছি ,
সে আমার আগুন।
জঠরে- রক্ত-শ্বাসে
এক নয়,সহস্র কাপালিক ....
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৃত
চাইলেই কি পাওয়া যায়,
জীবনের পড়ন্ত বেলায়,
যে সম্পর্ক অনাদরে সকালে গিয়েছে মরে,বাঁচে কি বিকেল আলোয়____
সারাদিন দাবদাহে শুষ্কতা সয়ে সয়ে জলাভাবে নিস্তেজ বিকাল ;
যার নাড়ী গেছে শুকায়ে,কি লাভ বলো জিহ্বায় উত্তরসূরীর একফোঁটা জল____
সম্পর্কের মাঝে অচ্ছেদ্য প্রাচীর, অদৃশ্য বলে ভেবো না তা অনুভবে মৃত ___
ভালোবাসার অনুভূতি শীর্ষতম কষ্ট পেতে রাজি,
কিন্তু অবমাননায় হয় হৃদয়ের আসন থেকে বিচ্যুত ;
যৌবন উত্তরকালে উচ্ছিষ্ট কাল নিয়ে বসে তুমি আজ ____
আমন্ত্রণ জানাও প্রেয়সী রে,যার নির্মাল্য করেছো অনাদর ;
তোমা তরে শুকায়েছে প্রেম, নিভেছে প্রদীপ,লব্ধ প্রজ্ঞায় আজ সে পাথর।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
তপন ঘোষাল
No comments:
Post a Comment