Editor. Nihar Ranjan Das
Siliguri. Darjeeling. India
🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹
🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹
মনোনীতা চক্রবর্তীগানের মতো
কিছু সত্যির কাছে ভয়ঙ্কর পরাজয় লেখা থাকে।
অথচ, সন্ধেরাতের রাগ সকালে বা দুপুরে শোনায় আদৌ কি থাকতে পারে কোনো ভুল অথবা আত্মপ্রবঞ্চনা? পুরোনো কবিতার মতো কিছু ঘাম এখনো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে কপাল জুড়ে...
আপডেট হয় স্টেটাস। জীবনের ছায়া। ইমন কল্যাণের মতো কড়ি থেকে শুদ্ধ 'মা' স্পর্শের আড়ালে আত্মজীবনী বাড়িয়ে চলে শব্দ-সংখ্যা। মনে পড়ে কত-কী! একটা বাদামি-পাখি উড়ে যায়। আবার আসে ...একটা আস্ত জীবনের মতো... তীব্র ভাঙচুরের মতো!
-------
আতংকিত সুবাস
প্রিপারেশন নিতে,না-নিতেই ডুবে যাচ্ছে চোখ। আর নামহীন যে ঝড় বয়ে গেলো কাল। তার তাণ্ডবে ছিঁড়ে যাওয়া কারেন্টের তারে যে গাভীটির মৃত্যু হলো,তার পাশ দিয়েই ভেসে যাচ্ছে কদমের ফুল, হিযলের পাপড়ি—
এখন মৃত গাভী,ডুবে যাওয়া ক্ষেত আর সুবাসিত হিযল : কম্বিনেশনটা ভাবতে ভাবতে মাথাটা ঘুরছে জলকুন্ডলীর ভেতর ছোটো ডিঙির মতো।
আর আকাশ থেকে টিনের চালে ঝরে পড়া বৃষ্টির ছন্দে,রবি ঠাকুরের বৃষ্টির গান নেমে এলে ঘরে ; অকস্মাৎ ঝড়ের ধাক্কায় ভেঙে যাওয়া সুপারিগাছ, জানালার কাঁচ ভেঙে ঢুকে পড়ে বিছানায়। ঝড়ের ঝাপটায় আঙুল বেয়ে নেমে আসে রক্ত। ভেতরে ভেতরে শুনতে পাই কৃষকের হাড় ভাঙচুরের শব্দ।
এভাবে আমরা বর্ষার চরিত্র ভেঙে যখন ঢুকে পড়ি হেডলাইন-রং পোশাকের ভেতর ; ডুবে যাওয়া সড়কের পাশে কেউ টাঙিয়ে দেয় বিজ্ঞাপনি ভঙ্গিতে। আর কেউ গেঁথে রাখে কবিতার পাতায়।
-------
গাছেদের কথা
এখন জানালা-বিলাসের সময় তো নয়।
হরিণ-বাড়ির দরজা খোলার শব্দে জাগে
অহরহ এসময়।
আজ গাছেদের স্কুলে বীজের অঙ্কুরোদগম;
মননের গভীরে শিকড়, রসের সন্ধানে---
উজ্জীবিত পাতায় পাতায় সবুজের সমাগম।
গানে কবিতায় গল্পে,
গাছেদের আন্দোলিত শির,
অনন্তকাল-ধরে আছে আগ্রহে অধীর।
রক্ষণশীল এই সময় হাঁক দেয় থামো,
ফিরে তাকাও অনন্ত-ভূতে!
গাছেরা অনড়, ঝড়ো বাতাসের আন্দোলনে,
ছায়া পড়ে দীর্ঘ হয় চলমান স্রোতে।
দূরে হরিণ-বাড়িতে পড়ে থাকে অলস হুঙ্কার,
শেকলে বাঁধা পেছন-ফেরা-সময় আর তার প্রথা।
এইসব ব্যথা সুকুমারমতি গাছেদের কথা। ------
চাঁদ পর্ব
তোমার কাছে ন্যায় অন্যায় বোধ বলে
কিছু নেই !
মিথ্যা আলোর বেসাতি করে করে
মৃত মানুষের মুখে আলো ফলে
পা দিয়ে নেড়ে দেখে নাও , সে কি সত্যি মরে গেছে !
নিজের অজস্র ক্ষত ভরা গায়ে আলোর চাদর জড়িয়ে, নিজেকে নির্দোষ ভেবে অলৌকিক আনন্দে আঘাত করো ,
সবুজ ভালোবাসার পৃথিবীকে লুনাটিক করে আত্মহননের দিকে নিয়ে যেতে চাও ?
আমরা জেনে গেছি তোমার জলহীনতার কথা ,
নুড়ি,পাথর সর্বস্ব রুক্ষতায় মায়াবী আলোর সব রহস্য ফাঁস হয়ে গেছে ।
আমরা দেখে ফেলেছি , অক্সিজেনহীনতার মাঝেও স্তরে স্তরে সাজানো রয়েছে রাগের ক্ষোভের ভয়ঙ্কর সব আগ্নেয়গিরি ।
সেই কবে কোন এক কিশোর কবি তোমার উপমায় তার প্রেয়সীর মুখ আঁকতে গিয়ে ক্ষিধের তীব্র যন্ত্রনায় রুটির কথা লিখে রেখে গেছে পৃথিবীর কাব্য- ইতিহাসের পাতায় ।
সেই থেকে পৃথিবীর কবিরা দ্বন্দ্বে আছে,
একদিন হয়তো কোন কবিই তোমায় নিয়ে আর কোন কবিতাই লিখবে না ।
-------
যা কিছু
যা কিছু খ্যাতি বাকি আছে সংসারের উনুনে ঠেসে দেব একদিন। পাঁজরের ব্যথা বা শ্বাসের সমস্যা কোনোটাই কবিতা পড়ে কমছেনা। অথচ সেরকমই কথা ছিল। ভেবেছিলাম বিবর্ণ সন্ধেগুলো সাহুর পাড়ের কবিতা সেশন অজস্র জোনাকিতে ভরে দেবে। সূর্যের চারপাশে বেশ কয়েকবছর পাক খাওয়ার পরে আমারও দাঁড়িতে রং লাগছে ধীরে ধীরে-- সাদা রঙ!এখন বুঝতে পারি রান্না করতে পারাটা একটা বাড়তি অ্যাডভানটেজ, ছন্দ জানাটা নয়। জলের দুঃখ বুঝতে পেরে যেভাবে কচুরিপানা ঢেকে দেয় নদীর অবশিষ্টাংশ, সেরকম কোনো উপশম খুঁজছি আজকাল।
এখন অবসরে ভজন শুনি,সন্ধ্যারতি ভালো লাগে,স্নানের পরে চন্দনের ফোঁটায় শান্তি খুঁজে পাই। আমি তো এরকম ছিলাম না, 'বোহেমিয়ান' আমার সবচেয়ে প্রিয় শব্দ ছিল। এখন দেখি ডায়েরির পাতায় পাতায় 'সংযমী' লেখা আছে। রেগে উঠিনা, ব্যুৎপত্তি সহ শব্দটার আত্মীকরণ করার চেষ্টা করি।
ভোর হলেই ছাদে গিয়ে বসি,এসময়টা চারিদিক থেকে ঠান্ডা হাওয়া আসে।বাবার পেয়ারের ফুলবাগানের মাঝখানটায় এখন আমার বসার অধিকার আছে।আর ঘরের সমস্ত বন্ধ জানলা খোলার অধিকার আমার গৃহিণীর ।
-------
নির্বাপিত
তোমায় নিয়ে দুয়েক শব্দ লিখে ফেললে
খুব আরাম হবে-
এরকম কোনও আশ্বাস পাওয়া যাচ্ছে না।
অতএব সেইসব সুদীর্ঘ সময় শূন্য করছে স্নায়ু...
স্মৃতি নিয়ে যতটা আতুকতুলা
স্মৃতি তার চেয়ে ভারী অনুপান।
জরদা চিবিয়ে গিলে ফেললে শরীরে এসব হয়ে থাকে;
তোমায় চিবিয়ে গিলে ফেলেছি প্রতিবার...
খেলার মতো জটিল কৌশল
কোনও মাঠ, কোনও ছাদ, কোনও সিঁড়ি, কোনও গাছ, কোনও পায়রা রাখার চিলেঘর
সব মিলেমিশে খেলার মতো
এসব লিখতে যেটুকু আগুন প্রয়োজন...
এমন কী তোমায় নিয়েও দুয়েক শব্দ লিখতে পারি না
বর্তমান!
------
অনিমেষ
ব্ল্যাঙ্ক স্কড
তোমার বুকের ভেতরে পোড়া ক্ষত
তার আরও ভেতরে শুয়ে আছে শ'য়ে শ'য়ে লাশ
চোখভর্তি শূন্যতা খেলা করে ছায়ারোদের লুকোচুরি শেষ হলে
আমার তখন তোমাকে ছুঁয়ে থাকার প্রতিশ্রুতি
ভেজা পাহাড় হয়ে যায়,মাটি ছুঁতে পারিনা বলেই ডানা হয়ে যাই,ঝরে যাওয়ার জন্য...
--------
অজিত বর্মণ
দারুণ হয়েছে। ঘোরসওয়ারের সাফল্য কামনা করছি। এখানে প্রকাশিত সবার লেখা ভালো লাগলো। সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন 💐💐💐
ReplyDelete